সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি
পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে মুখরিত হয়ে উঠছে পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি আশপাশের জেলার হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করছেন। বিলপাড়ের খয়রান গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে গাজনার বিল বর্ষার নতুন পানিতে থৈ থৈ করে। আর বিলে এ পানি থাকবে পৌষ মাস পর্যন্ত। বর্ষার শুরু থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময় প্রায় অর্ধ শত শত সবুজ শ্যামল গ্রাম বেষ্টিত বিশাল বিস্তৃত গাজনার বিল সত্যই অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করে। সেকারণে এ সময় স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পর্যটক ছুটে আসেন গাজনার বিল ভ্রমণে। ভ্রমণ পিপাসু ওইসব বেশিরভাগ পর্যটক গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করে থাকেন। পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণের জন্য বিলের খয়রান ব্রিজ পয়েন্টে, চরবোয়ালিয়া পয়েন্টে, বাদাই ব্রিজ পয়েন্টে এবং বোনকোলা ব্রিজ পয়েন্টে বাণিজ্যিকভাবে রাখা হয়েছে ইঞ্জিন চালিত বড় বড় নৌকা।
তাছাড়া পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে বিলের শারীরভিটা পয়েন্টে থাকে বিশাল বাইচ’র নৌকা। স্থানীয় পর্যটকরা ওই বাইচ’র নৌকায়ও বিল ভ্রমণ করে থাকেন। বিলপাড়ের শারীরভিটা গ্রামের শরীফুল ইসলাম মাস্টার বলেন প্রতিদিন কমবেশি পর্যটককে গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করতে দেখা যায়।
তবে শুক্র এবং শনিবার পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে গাজনার বিল মুখরিত হয়ে উঠে। এদিন হাজার হাজার পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বর্ণিল সাজে সেজে গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করেন। পর্যটকরা সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত বিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে নৌ-ভ্রমণ করেন। বিলে নৌ-ভ্রমণে আসা উপজেলার মানিকহাট গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা বলেন বিলটি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিলে সারা বছর পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিলের ২/৪টি পয়েন্টে পরিকল্পিত পিকনিক স্পট এবং আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা। সেই সঙ্গে পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে বিল এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের টহল জোরদার করা প্রয়োজন।
সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবর রহমান বলেন পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে গাজনার বিল ভ্রমণ করতে পারেন সেদিকে পুলিশের সজাগ দৃষ্টি আছে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন গাজনার বিলকে নিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
